ভাটি বাংলার রাজধানী বলে জনশ্রুত ময়মনসিংহ বিভাগীয় নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা একটি প্রাচীন জনপদ। মোহন সাহা-র নামে একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর নাম অনুসারে এই শহরের নাম করণ করা হয় বলে জানা যায়। ব্রিটিশ শাসন আমল থেকেই মোহনগঞ্জ ছিল ধান, পাট, মাছ, সরিয়া ইত্যাদির উলেখযোগ্য ব্যবসাকেন্দ্র । এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯২৫ খ্রিঃ মোহনগঞ্জ রেল স্টেশন নির্মাণ কাজ গুরু হয়। ১৯২৮ খিঃ রেল চলাচল গুরু হয়। বৃহত্তর সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার ০৭/০৮ টি উপজেলা রাজধানীর সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোহনগঞ্জ সর্বাধুনিক গুরুত্ববহ শহর । বর্তমানে বাজধানীর সাথে ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে ০৪/০৫টি পরিবহণ সংস্থার বাস সার্ভিস চালু রয়েছে।
মোহনগঞ্জ পৌরসভা ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এবং ১ম শ্রেণীর পৌরসভা হিসাবে স্বীকৃতি পায় ২০১৬ সালে। পৌরসভাটিতে ০৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। পৌরসভায় অবকাঠামোগত উন্নয়নে সম্ভাবনা অপার। জলপথে অর্থনৈতিককর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে মোহনগঞ্জ সমধিকার সম্ভাবনার একটি উপজেলা । মোহনগঞ্জ পৌরসভার বুক চিঁড়ে প্রবাহিত শিয়ালজানি খাল দিয়ে এক সময় ধান, পাট বোঝাই বড় মাপের নৌকা চলাচল করত। সময়ের বিবর্তনে আজ বিলুপ্ত প্রায় খালটি পুনঃখনন করে এর সৈন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। শিক্ষা , ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে মোহনগঞ্জ অনন্য সাধারণ ঐতিহ্য বহন করছে।
অবস্থান: ২৪°৪৫´ থেকে ২৪°৫৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫৫´ থেকে ৯১°০৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। উত্তরে নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলা, পূর্বে নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলা এবং পশ্চিমে নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলা ও বারহাট্টা উপজেলা।
ভাটিবাংলার রাজধানী খ্যাত মোহনগঞ্জ উপজেলায় থানা গঠিত হয় ৬ এপ্রিল ১৯২০ সালে। ১৯৮২ সালে উপজেলায় রুপান্তরিত করা হয়।
মোহনগঞ্জ স্বীয় মহিমায় প্রতিষ্ঠি একটি অমীয় সম্ভাবনার উপজেলা।
আয়তন |
২৪১.৯৮ বর্গকিমি (৯৩.৪৩ বর্গমাইল) |
মসজিদ |
২২৩ টি |
জনসংখ্যা |
১,৬৭,৫০৭ জন (২০১১ইং সালের আদমশুমারি অনুযায়ী) |
আশ্রম |
০৩ টি |
পূরুষ-৮৪,২২৩ জন |
মন্দির |
৬১ টি |
|
মহিলা-৮৩,২৮৪ জন। |
শ্মশান |
০৫ টি |
|
পৌরসভা |
০১ (এক) টি |
কলেজ |
৩ টি |
ইউনিয়ন |
০৭ টি |
মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় |
১৯ টি |
০৭ (সাত) টি (১) বড়কাশিয়া-বিরামপুর (২) বড়তলী-বানিয়াহারী (৩) তেতুলিয়া (৪) মাঘান-সিয়াধার (৫) সমাজ-সহিলদেও (৬) সুয়াইর (৭) গাগলাজুর |
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
১ টি |
|
দাখিল মাদ্রাসা |
০৪ টি |
||
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় |
৯২ টি |
||
রেজিঃ বেসঃ প্রাঃ বিদ্যালয় |
০১ টি |
||
কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় |
০০টি |
||
গ্রাম |
১৬৩ টি |
০১ নং বড়কাশিয়া-বিরামপুর ইউনিয়ন : ১৯,৪২৯ জন, পুরুষ : ৯,৯০৯ জন, মহিলা : ৯,৫২০ জন।
০২ নং বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়ন : ২০,০১৩ জন, পুরুষ : ১০,১৩৪ জন, মহিলা : ৯,৮৭৯ জন।
০৩ নং তেতুলিয়া ইউনিয়ন : ১৮,৭৮৭ জন, পুরুষ : ৯,৩৭৫ জন, মহিলা : ৯,৪১২ জন।
০৪ নং মাঘান-সিয়াধার ইউনিয়ন : ২১,৯২৩ জন, পুরুষ : ১০,৯১৩ জন, মহিলা : ১১,০১০ জন।
০৫ নং সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়ন : ২২,১৮১ জন, পুরুষ : ১১,০৮৬ জন, মহিলা : ১১,০৯৫ জন।
০৬ নং সুয়াইর ইউনিয়ন : ১৮,৯০৫ জন, পুরুষ : ৯,৫১২ জন, মহিলা : ৯,৩৯৩ জন।
০৭ নং গাগলাজুর ইউনিয়ন : ১৯,০৭৬ জন, পুরুষ : ৯,৬৫৮ জন, মহিলা : ৯,৪১৮ জন।
০১ নং ওয়ার্ড : ৪,৩৩০ জন, পুরুষ : ২,১৮০ জন, মহিলা : ২,১৫০ জন।
০২ নং ওয়ার্ড : ৩,৪৬৩ জন, পুরুষ : ১,৭০৪ জন, মহিলা : ১,৭৫৯ জন।
০৩ নং ওয়ার্ড : ১,৩৫২ জন, পুরুষ : ৭৬১ জন, মহিলা : ৫৯১ জন।
০৪ নং ওয়ার্ড : ২,৫৪১ জন, পুরুষ : ১,২৮৫ জন, মহিলা : ১,২৫৬ জন।
০৫ নং ওয়ার্ড : ২,৫৮৬ জন, পুরুষ : ১,৩১৬ জন, মহিলা : ১,২৭০ জন।
০৬ নং ওয়ার্ড : ২,২১৮ জন, পুরুষ : ১,০৯৮ জন, মহিলা : ১,১২৭ জন।
০৭ নং ওয়ার্ড : ৪,৪৭৪ জন, পুরুষ : ২,২২০ জন, মহিলা : ২,২৫৪ জন।
০৮ নং ওয়ার্ড : ৩,৭২৭ জন, পুরুষ : ১,৮২৩ জন, মহিলা : ১,৯০৪ জন।
০৯ নং ওয়ার্ড : ২,৫০২ জন, পুরুষ : ১,২৫৬ জন, মহিলা : ১,২৪৬ জন।
শিক্ষার হার : ৬৪.৭৩%, পুরুষ : ৩৩.৭২%, মহিলা : ৩১.০১%।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস